মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কুমিল্লা নগরীতে চাঁদা দিতে যুবকের ‘না’ তুলে নিয়ে পেটানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের মানববন্ধন ও সমাবেশ বুড়িচং উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক হায়দার গ্রেফতার বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় ড্যাব নেতা ডাঃ এম এ হাসানের মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট বুড়িচং উপজেলা কমিটি গঠিত  বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির পরিচালক হলেন আসিফ আকবর  অষ্টমী পেরিয়ে আজ মহানবমী, দেবীর বিদায় ঘণ্টা শুরু। কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সর্দারসহ ১৪ ডাকাত গ্রেফতার- নগদ টাকা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ সুস্থ হৃদয় ছাড়া সুস্থ জীবন সম্ভব নয়: কুমিল্লায় বিশ্ব হার্ট দিবসে বক্তারা 

মুক্তিযুদ্ধাদের আয়োজনে দাউদকান্দি মুক্ত দিবস উদযাপন

মনির হোসেন
  • আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আজ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি হানাদার মুক্ত হয়। দাউদকান্দি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা আলোচনা সভভা ও র‌্যালির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।

শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা শেষে কমপ্লেক্স এলাকা থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিটি দাউদকান্দি পৌরবাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে,উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস,মডেল থানা ও যারিফ আলী শিশু পার্ক এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এসে শেষ হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল হাসান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম নয়ন, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জেবুননেসা জেবু, প্যানেল রকিব উদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, সোহরাব হোসেন সহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধারা একটি আলোচনা সভা করে। সভায় সকল শহীদ ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিহত সকলের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কঠিন প্রতিরোধে আজকের ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দাউদকান্দি থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক দল ও ভারতীয় মিত্র বাহিনী মিলে সাতশরও বেশি সেনা,পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যৌথ বাহিনীর কঠিন প্রতিরোধে পাক সেনারা লঞ্চযোগে দাউদকান্দি থেকে পালিয়ে যায়।

৮ডিসেম্বর সকাল থেকে ইলিয়টগঞ্জ,শহীদনগর ওয়ারলেস কেন্দ্র ও দাউদকান্দিতে অবস্থিত সড়ক জনপদ বিভাগের ডাক বাংলোতে অবস্থানরত পাক সেনাদের লক্ষ্য করে,মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে আক্রমণ শুরু করে। মোহাম্মদপুর,ডাকখোলা, গোয়ালমারী,বাতাকান্দি সহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রসর হতে থাকে। পূর্ব দিক থেকে মিত্রবাহিনীর আর্টিলারির কাভারিং ফায়ার ফ্রন্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ফায়ার করলে পাক সোনারা কোণঠাসা হয়ে পরে। মিত্রবাহিনীর মুহুরমুহু সেলিংয়ের কারণে,পাক সেনারা শহীদ নগর ওয়ারলেস কেন্দ্র ছেড়ে দাউদকান্দি সদরের দিকে দৌড়াতে থাকে। পাকশেনাদের ব্যাগতিক দৌড় দেখে, দাউদকান্দির আশেপাশের গ্রামের লোকজন ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পার্শ্ববর্তী গোমতী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৮ ডিসেম্বর সারাদিন ও রাতভর যুদ্ধ শেষে ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে তাদের শেষ আশ্রস্থল সড়ক ও জনপদ বিভাগের ডাক বাংলোতে অবস্থান নেয় পাক সেনারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে লঞ্চযোগে গোমতী ও মেঘনা নদী দিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া হয়ে ঢাকার দিকে পালিয়ে যায় তারা, শত্রু মুক্ত হয় দাউদকান্দি। দুপুর ১২ টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা দাউদকান্দিতে পৌঁছে হানাদার মুক্ত করে,স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উড়ায়।

শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন
ডিজাইন: Nagorikit.com (নাগরিক আইটি)
themesba-lates1749691102