মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন শান্ত, সৌদি আরব থেকে
এটি সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা দিবস । প্রতি বছর নানা আয়োজনের মাধ্যমে এই দিনটি পালন করে সৌদি আরবের নাগরিকরা এছাড়াও বিভিন্ন দেশের যত প্রবাসী নাগরিক আছে তারাও এই দিনটি খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করে।
এছাড়াও এই দিবসকে কেন্দ্র করে নতুন রুপে সাজানো হয় রিয়াদ সহ পুরো সৌদি আরব
প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে লাগানো হয় জাতীয় পতাকা এবং প্রতিটি গাড়িতে লাগানো হয় সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা, এই দিন বিকেল থেকে শুরু হয় সৌদিয়ান দের গাড়ি দিয়ে রোড শো , এবং এই রোড শোতে যোগ দেন অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও।
এদিকে জাতীয় দিবসে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে সবুজ পণ্য সামগ্রীর সমারোহ। বিভিন্ন মক্তবগুলো( লাইব্রেরি) খেলনা ও বইয়ের পাশাপাশি বাচ্চাদের পছন্দসই সবুজ রংয়ের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, ক্যাপ, টিশার্ট, ব্যাজ, কাপ-প্লেট, ব্রেসলেটস, বড় আকারের চশমা এবং বেলুনসহ বিভিন্ন আইটেম বিক্রি করছে। পাঁচ রিয়াল থেকে ৫০০ রিয়ালের মধ্যে এসব আইটেমের ক্রেতা শিশু ও তরুণরা। দোকানগুলো এসব শিশু ও তরুণদের পছন্দসই রং ও সরবরাহ করছে। যার ফলে জাতীয় দিবসের আনন্দ ঈদের আনন্দে পরিণত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নেট জগতে মামা হিসেবে পরিচিত ‘গুগল’ও সেজেছে সৌদি আরবের নিজস্ব সাজে। সড়ক-মহাসড়কে এবং সেখানে স্থাপিত ল্যাম্পপোস্টে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
সৌদি আরবের ছোট-বড় প্রতিটি নগরীতে আলাদা আলাদাভাবে জাতীয় দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
১৯০২ সালের ১৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ আব্দুর রহমান আল সৌদ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে তার পৈত্রিক শহর রিয়াদ দখল করেন।
দীর্ঘ প্রায় ৩২ বছর সংগ্রামের পর ১৯৩২ সালের ২১ মে এক রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে আরবের বিভিন্ন অংশের একত্রিকরণের ঘোষণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে একই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর আধুনিক সৌদি আরব গঠিত হয়।
সেই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।