কুমিল্লা জেলা যুব উলামা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় আগামী ২৪ নভেম্বর ২০২২ইং রোজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে “ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে তরুণদের করণীয় এবং ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সেমিনার “ তারুণ্যের ভাবনা ” ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো, বাংলাদেশ ক্বওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড-এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ও জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ, মোটিভেশনাল স্পিকার মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ ও মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফী সহ বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারদের।
এ বিষয়ে পরিষদের দায়িত্বশীলরা জানান, ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদান ও সংস্কৃতি চর্চার অভাবে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ক্রমেই মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী নিপীড়ন ও কিশোর গ্যাং। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি বর্তমান প্রজন্মকে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদান ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত করা অতীব প্রয়োজন।

এই প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে আমরা প্রোগ্রমাটির সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। নিয়মানুযায়ী গত ২৭-১০-২২ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্তও করেছি, যার স্মারক নং ১৬৫৬৬। আমাদের প্রত্যাশা ছিলো এমন একটি চমৎকার প্রোগ্রামে প্রশাসন যথাযথ সহযোগিতা করবেন। কিন্তু দু:খজনক বাস্তবতা আমাদের প্রত্যাশার বিপরীত। তাই আমরা বাধ্য হয়ে প্রোগ্রামটি স্থগিত করছি।কেননা, আমরা শান্তি-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী এবং প্রশাসনের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের এই শ্রদ্ধাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশে ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদান চর্চামূলক প্রোগ্রামের অনুমোদন না পাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার মনে করি এতে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।