কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জহিরুল ইসলাম মোল্লা (৩৫) হত্যা মামলার আসামি ভিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
গতকাল রোববার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে,আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত জহিরুল ইসলাম ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
উল্লিখিত ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর উপজেলার মানিক কান্দি গ্রামের মাছের প্রজেক্টের জমি ও মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপ ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের একপর্যায়ে চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ মীমাংসার কথা বলে যুবলীগের সহ-সভাপতি জহিরকে ডাকেন। জহির তার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসলে এ সময় বাবুল চেয়ারম্যানের লোকজন জহিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেন।
নিহত যুবলীগ নেতার ছোট ভাই মামলার বাদী এসহাক মোল্লা কারাগারে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাবুল চেয়ারম্যান আমার বড় ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। গতকাল রোববার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামি বাবুল জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন এই মামলার ৪৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত নামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে এরমধ্যে ১০ জন জেল হাজতে আছেন, ২৬ জন উচ্চ আদালতের জামিনে আছে ও ৭ জন পলাত।