স্মার্ট শিক্ষা স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ স্লোগান কে সামনে রেখে কুমিল্লা জেলার নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ” স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান এবং নতুন শিক্ষাক্রম – আমাদের করনীয়” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: জামাল নাছের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর নুর মোহাম্মদ এবং জেলা শিক্ষা অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম। উক্ত সভা’টি সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো: আজহারুল ইসলাম।
সভায় আমন্ত্রিত সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক দের উদ্দেশ্য বক্তারা বলেন – ‘স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশের উপযোগী করতে তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তার সব সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে যে রকম শিক্ষা ব্যবস্থা করা দরকার, সেটি ঔপনিবেশিক শিক্ষা নয়, যেটি বঙ্গবন্ধুর ভাষায় কেরানি পয়দা করার শিক্ষাব্যবস্থা সেটিও নয়। একটি সাধারণ দেশের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়বার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’ ‘এজন্য বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা করা হয়েছে’ উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষায় ২০৩০ পর্যন্ত যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, আমরা সেগুলো সব অনুসরণ করার চেষ্টা করছি।’
স্মার্ট বাংলাদেশ নিছক কোনো রাজনৈতিক শ্লোগান নয়। এটিকে এদেশের ১৮ কোটি মানুষের ধ্যানজ্ঞান ও চিন্তাভাবনার কেন্দ্রন্দিুতে পরিণত করা উচিত। আমরা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, এই কর্মজজ্ঞের সফলতার জন্য সবথেকে কার্যকর ভূমিকা রাখবে দেশের শিক্ষাখাত তথা সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। দেশের অগ্রগতিতে প্রণীত যে কোন ধরণের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে শিক্ষকগণকেই অন্যতম প্রধান কারিগরের ভূমিকায় থাকতে হয়। তবে, এই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে সবার আগে শিক্ষা ও শিক্ষককে স্মার্ট হতে হবে। সরকার এজন্য শিক্ষকবান্ধব বিভিন্ন ধরণের কার্যকরী নীতিমালাও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সারা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক আইসিটি ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে এবং শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। স্মার্ট বোর্ড এর ব্যবহার চালু করা হয়েছে। শ্রেনিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ও স্মার্ট বোর্ড এর ব্যবহারকে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিজ্ঞান প্রসারের জন্য নতুন নতুন কোর্স প্রবর্তন করা হচ্ছে। গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্বারোপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।