ডাকাত গ্রেফতার করা ও ডাকাতি প্রতিরোধ করা পুলিশের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৩ অক্টোবর রাতের প্রথম প্রহরে সুইডেন প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি করা কালে এএসআই ইয়াসিন ও অফিসার ইনচার্জ নিজে দু’জন ডাকাতকে পিস্তল গুলি সহ আটক করে লুণ্ঠিত প্রায় সকল মালামাল উদ্ধার করে।
তাৎক্ষণিকভাবে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান টিম সদর দক্ষিণ মডেল থানার জন্য ২০,০০০(বিশ হাজার) টাকা নগদ পুরষ্কার প্রদান করেন।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কক্ষে স্ব হস্তে তিনি এ পুরষ্কার তুলে দিয়ে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেন সদর দক্ষিণ মডেল থানাকে।এ সময় সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী সহ পুলিশ সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিনের মাটিয়ারা এলাকায় ডাকাত দলের সাথে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।রবিবার(২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টায় দিকে মহাসড়কে একটি প্রাইভেটকারে ডাকাতির সময় পুলিশ ডাকাতদের ধাওয়া দিলে তখন গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,ঢাকা থেকে ফেনী যাওয়ার পথে সুইডেন প্রবাসী আহমেদ হোসেন (৩৫) নামে এক প্রবাসীর বহনকারী প্রাইভেট কারের তলায় লোহার রড ছুঁড়ে একদল ডাকাত গাড়ি থামায়।তাকে ও চালককে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার সাথে থাকা মূল্যবান সামগ্রী তথা ল্যাপটপ, স্বর্ণ, ডলার ও মোবাইল ফোন সহ আরও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের পেট্রল টিম খবর পেয়ে দ্রুত এসে ডাকাতদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে চায়।তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার্থে শর্টগান থেকে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।এতে দুজন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়।আটককৃত ডাকাত শরীয়তপুরের গোসেরহাট এলাকার সাদেক বেপারীর ছেলে আবদুর রহিম (৪৯) ও কুমিল্লার লালমাই উপজেলার হতগড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাব্বির(১৭)।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ডাকাতকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুলাগুলিতে এসআই ইয়াছিন ও কনেস্টবল মামুন নামে ২ পুলিশ সদস্যও আহত হয়।এছাড়া ডাকাতির সময় ব্যবহৃত একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ।